ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকের অপসারণের দাবিতে প্রধান ফটকে তালা

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক হাফিজুল ইসলামের অপসারণ দাবিতে প্রধান ফটকে তালা লাগিয়ে বিক্ষোভ করেছেন বিভাগটির শিক্ষার্থীরা। নারী শিক্ষার্থীদের নিয়ে নেতিবাচক মন্তব্য ও হুমকির অভিযোগ এনে ওই শিক্ষকের অপসারণ দাবি করেন তাঁরা।

আজ সোমবার বেলা ১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের রবীন্দ্র-নজরুল কলাভবনের সামনে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ শুরু করেন। পরে বেলা ২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে তালা দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পরিবহন বাসগুলো আটকে দেন তাঁরা।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, প্রধান ফটকের সামনে বিক্ষোভের সময় প্রক্টর শাহীনুজ্জামানসহ অন্য কয়েকজন শিক্ষক সেখানে উপস্থিত ছিলেন। এ সময় শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে ১০-১২ জন প্রতিনিধির সঙ্গে বসে আলাপের প্রস্তাব দেয় প্রক্টরিয়াল বডি। তবে সেটি প্রত্যাখ্যান করে শহরমুখী বাসগুলো আটকে দেন শিক্ষার্থীরা।

আধা ঘণ্টা পর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নকীব মোহাম্মাদ নসরুল্লাহর সঙ্গে আলোচনায় বসেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় শিক্ষক হাফিজুল ইসলামের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ তুলে তাঁর অপসারণের দাবি জানান শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, সহকারী অধ্যাপক হাফিজুল ইসলাম নারী শিক্ষার্থীদের পোশাক, পরিবার ও চেহারা নিয়ে প্রতিনিয়ত বাজে মন্তব্য করেন। এক নারী শিক্ষার্থী সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি প্রতিনিয়ত আতঙ্কে থাকতাম। আমি কী পোশাক পরব, কোথায় যাব, কী খাব সেই স্বাধীনতাটুকু তিনি কেড়ে নিয়েছিলেন। দুই দিন বিভাগে না যাওয়ায় আমাকে ফ্যানে ঝুলিয়ে পেটাতে চেয়েছেন। বিভাগের মেয়েদের ওপেন (প্রকাশ্যে) গালিগালাজ করেন।’

অভিযোগের বিষয়ে জানতে সহকারী অধ্যাপক হাফিজুল ইসলামের সঙ্গে ফোনে একাধিকবার ফোন দিলেও সেটি বন্ধ পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ প্রথম আলোকে বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি নিয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করব। কমিটিকে প্রতিবেদন দিতে বলব। তদন্তে যা আসে, তার পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুসারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’