বন্যায় শেরপুরে নিহত ৭, ময়মনসিংহ-নেত্রকোণায় পরিস্থিতির অবনতি

আরও ভয়াল রূপে শেরপুর, ময়মনসিংহ ও নেত্রকোণার প্লাবন পরিস্থিতি। বৃষ্টির সাথে উজানের ঢল অব্যাহত থাকায় ডুবছে নতুন নতুন এলাকা। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে কয়েক লাখ মানুষ।

শেরপুরে এখন পর্যন্ত ৭ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। মহারশি নদীর ভাঙা বাঁধ দিয়ে ৩ দিন ধরে পানি ঢুকছে লোকালয়ে। অন্যান্য নদ-নদীর পানিও ভাসিয়েছে জনপদ। ডুবেছে পাঁচ উপজেলার অন্তত ২০ ইউনিয়ন। পানিবন্দি দেড় লক্ষাধিক মানুষ। খোলা হয়েছে আশ্রয়কেন্দ্র। বাড়িঘর ছেড়ে অনেকেই সেখানে আশ্রয় নিয়েছেন। কিন্তু খাবার ও বিশুদ্ধ পানির চরম সংকট দেখা দিয়েছে। উদ্ধার তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে সেনাবাহিনী ও বিজিবির সদস্যরা।

একই চিত্র ময়মনসিংহে। বৃষ্টির সাথে উজানের ঢল। দর্শা ও নেতাই নদীর পানিতে ডুবছে নতুন নতুন এলাকা। ১৫টি ইউনিয়নের ৮০টি গ্রাম এরইমধ্যে প্লাবিত হয়েছে। এতে দুর্ভোগে পড়েছে লাখো মানুষ। অনেকেই আশ্রয় নিয়েছেন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ভবনে। দেখা দিয়েছে শুকনো খাবার সংকট। বাড়ছে দুর্ভোগ। এদিকে, প্রবল বর্ষণে গাছ উপড়ে পড়ে ঘণ্টাখানেক বন্ধ ছিল ময়মনসিংহ-হালুয়াঘাট সড়ক যোগাযোগ।

অন্যদিকে, উজানের ঢলে প্লাবন পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে নেত্রকোণায়। সোমেশ্বরী, কংশ, ধনু, মগড়াসহ সব নদ-নদীর পানিই বাড়ছে। দুর্গাপুর, কলমাকান্দাসহ ৫ উপজেলার অর্ধশতাধিক গ্রাম পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। এতে জলমগ্ন হয়ে রয়েছে লক্ষাধিক মানুষ। পানি উঠেছে ময়মনসিংহ ও পূর্বধলার জারিয়া রেলপথে। এতে ট্রেন চলাচল ব্যাহত হচ্ছে।