সংলাপে নির্বাচনের রোডম্যাপ চেয়েছে বিএনপি

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সংলাপে নির্বাচনের রোডম্যাপ চেয়েছে বিএনপি। শনিবার (৫ অক্টোবর) দুপুরে সংলাপ শেষে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনা থেকে বের হয়ে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন নিয়োগ আইন স্থগিত করে সব রাজনৈতিক দলের মতামতের ভিত্তিতে ইসি পুনর্গঠন করা উচিৎ। এ ছাড়া প্রধান উপদেষ্টাকে বিচারপতি খাইরুল হকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলেছি।’

তিনি আরও বলেন, ছয় সংস্কার কমিশন এবং আগামী নির্বাচন নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের মনোভাব ও প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ইউনিয়ন পরিষদ বাতিল, প্রশাসন থেকে স্বৈরাচারী সরকারের দোসরদের সরানো এবং বিচার বিভাগের ৩০ জন বিচারকের অপসারণের দাবি জানানো হয়েছে। এ ছাড়া এদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য বলা হয়েছে।

বিএনপির মহাসচিব বলেন, শেখ হাসিনা ভারতে থেকে দলীয় প্রচারণা চালাচ্ছে। ভারতের সঙ্গে কথা বলে তাকে এ অবস্থা থেকে সরানোর জন্য উদ্যোগ নিতে প্রধান উপদেষ্টার কাছে আহ্বান জানানো হয়েছে। 

তিনি বলেন, সব রাজনৈতিক, মিথ্যা, সাজানো মামলা প্রত্যাহারের কথা বলা হয়েছে। গুম খুনের সঙ্গে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য বলা হয়েছে। এ ছাড়া নিরপেক্ষ ব্যক্তিদের দায়িত্ব দিতে এবং চুক্তিভিত্তিক কিছু নিয়োগ বাতিল করার জন্য বলা হয়েছে।

এর আগে দুপুর আড়াইটায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সংলাপে করে বিএনপির প্রতিনিধি দল। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলে ছিলেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মঈন খান, ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান এবং সালাউদ্দিন আহমেদ।

গত ২৯ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে দেশের সমসাময়িক ইস্যুতে বৈঠক করে বিএনপির প্রতিনিধি দল। এদিকে শনিবার বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, গণতন্ত্র মঞ্চ, ইসলামী ঐক্যজোট, গণতান্ত্রিক বাম জোট ও এবি পার্টির সঙ্গে সংলাপ করবেন প্রধান উপদেষ্টা।

গত ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর ইতিমধ্যে দুই দফায় উপদেষ্টা পরিষদের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিনিধিদের সভা হয়েছে। সবশেষ গত ৩১ আগস্ট দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করেন ড. ইউনূস। তারই চলমান প্রক্রিয়ায় শনিবার (৫ অক্টোবর) থেকে আবারও নতুন দফায় আলোচনা শুরু হয়।